সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, সাদাপাথর-লালাখাল বাদে সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কারণে দ্বিতীয় দফায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো আবার খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এ দফায় একসঙ্গে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলছে না। পর্যটকদের ঝুঁকি বিবেচনায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল পর্যটনকেন্দ্র আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ ও জৈন্তাপুরের ইউএনও উম্মে সালিক রুমাইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও জানান, সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুলে দেওয়া হবে। অন্যদিকে জৈন্তাপুরের ইউএনও জানান, লালাখাল পর্যটনকেন্দ্র আজ বেলা একটা পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ বেলা একটার দিক থেকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই, মায়াবী ঝরনাসহ উপজেলার অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গোয়াইনঘাট পর্যটনকেন্দ্রে নৌ চলাচলে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সকল নৌকা মালিকদের নৌকাচালক ও যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জাফলং পিয়াইন নদের পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনায় সাঁতার না জানা এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নৌকায় না ওঠাতে বলা হয়েছে। পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য টুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার থেকে উপজেলা প্রশাসন, থানা-পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, নৌকাচালক ও মালিক পর্যটনকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সিলেটে চলতি মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পর দুই দফা পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে গত ৩০ মে সিলেটের সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭ জুন থেকে সিলেটের সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে ১৮ জুন থেকে আবার সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ থেকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।