Tourism

খুলে দেওয়া হলো সুনামগঞ্জের সব পর্যটনকেন্দ্র

খুলে দেওয়া হলো সুনামগঞ্জের সব পর্যটনকেন্দ্র

সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা নদীসহ জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নদীর পানি স্বাভাবিক হচ্ছে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে সকল পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঈদের আগের দিন গত ১৬ জুন রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টি পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। ১৭ জুন ঈদের দিন সকলে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জেলার ১১ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় সাড়ে লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

জেলার এমন পরিস্থিতিতে ঈদের পরদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক। তবে গত শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উজানের ঢলের পানি কম নামায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়। শনিবার থেকে প্রখর রোদের দেখা মিলে এবং আজ রবিবার থেকে জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর মধ্যনগর উপজেলার বিস্তৃর্ন এলাকা নিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্যের টাঙ্গুয়ার হাওর, তাহিরপুর উপজেলার শহীদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, দোয়ারাবাজার বাঁশতলা শহীদ স্মৃতি সৌধ, সদর উপজেলার ডলুরার ৪৮ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধী, জামালগঞ্জের কানাইখালী নদী তীরের করচ বাগানসহ আরও কিছু জায়গা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। এসব জায়গায় সারা বছরই পর্যটকরা ঘুরতে যান। বিশেষ করে নববর্ষ, পূজা পার্বণ ঈদের সময় পর্যটক বেশি ভিড় করেন। কিন্তু বন্যা পরস্থিতির কারণে এবারের ঈদের এসব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় পর্যটকরা যেতে পারেননি।

আরও পড়ুন