সেন্টমার্টিনে বছরের ৪ মাস পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত
পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে সরকার সেন্ট মার্টিনে পর্যটক সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (২২শে অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উিইং আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ সময়ে তিনি জানান, সেন্ট মার্টিন দেশের বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত এ দ্বীপটি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভিড় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় সেখানকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরের নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন কিন্তু রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পর্যটকরা যেতে পারবেন এবং রাত্রিযাপনও করতে পারবেন তবে দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক সেখানে প্রবেশ করার সুযোগ থাকবে না। আর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার থাকবে না এই দ্বীপে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া যাবে না।
দ্বীপটিতে প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক আগমন, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পরিবেশ দূষণ, পর্যটকদের অসচেতনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে সেখানকার ইকো-সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছিল। কিন্তু দ্বীপটিকে বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছিল।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দ্বীপটির পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করেন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। এসব কারণে দ্বীপটির প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নানা জলজ প্রাণী এবং জীব-বৈচিত্র্য এখন বিলুপ্ত হবার পথে।
সেন্ট মার্টিনে যেকোনো ধরণের স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেগুলো উপেক্ষা করেই সেখানে গড়ে উঠছে একের পর এক রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল বলে উল্লেখ করেন তিনি।