রাতেও ফ্লাইট চলছে কক্সবাজারে
পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত পর্যটন শহর কক্সবাজার বিমানবন্দরে এখন থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওঠানামা করবে যাত্রীবাহী ফ্লাইট। রাতে ফ্লাইট থাকায় সুবিধা পাবেন পর্যটকসহ বিদেশগামীরাও।
এই বিমানবন্দরে প্রতিদিনই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৪টি সংস্থার ১৭-১৮টি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ অবতরণ করে। আকাশপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগে ঘণ্টাখানেক। এতে সবসময় যাত্রী চাহিদার তুঙ্গে থাকে রুটটি।
পর্যটন শহর হলেও এতদিন এখানে যাত্রীবাহী ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারতো সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। কিন্তু রবিবার (২৭ অক্টোবর) থেকে এই বিমানবন্দরে রাত ১০টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।
এতে ঢাকা থেকে সকালে ভ্রমণে গিয়ে একই দিন রাতে ঢাকায় ফিরতে পারবেন পর্যটকরা। অন্যদিকে, জেলার বিদেশগামীরাও রাতের ফ্লাইটে চলে যেতে পারবেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে তাদের খরচও কমবে।
যাত্রীরা জানান, রাত ১০টা পর্যন্ত ফ্লাইট চললে সেটা চমৎকার বিষয় হবে। এতে দিনের কাজ দিনে শেষ করে আবার ঢাকায় ফিরে যাওয়া সম্ভব। এতে হোটেলে থাকা-খাওয়ার খরচও বেঁচে যাচ্ছে।
পর্যটকরা জানান, ফ্লাইট চলাচলের সময় বাড়ানো খুবই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। এখন পর্যটকরা চাইলে একদিনের ছুটিতে সারাদিন সমুদ্রবিলাস করে আবার রাতে ঢাকায় ফিরে যেতে পারবেন। এমনকি ডে ট্যুরে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে।
রাতে ফ্লাইট চালুকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারাও। আর পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লাইটের টিকিটের মূল্য যেন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের কক্সবাজার স্টেশন ইনচার্জ মুসা আহমেদ বলেন, ‘কক্সবাজারে যাতায়াত করা যাত্রীদের জন্য এটা বড় সুখবর। এটা যাত্রীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল। দিনে কাজ শেষ করে এখন নিশ্চিন্তে তারা ঢাকায় ফিরতে পারবেন।’
সী ক্রুজ অপারেটর অনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘এটা নিশ্চয়ই পর্যটন শিল্পের জন্য ভালো উদ্যোগ হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি আমি বলবো, ফ্লাইট ভাড়া যেন যাত্রীদের নাগালে থাকে। তাহলে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।’
আপাতত উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর মধ্যে 'এয়ার অ্যাস্ট্রা' রবিবার রাত ৯টায় এবং নভোএয়ার সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।