Tourism

পর্যটকদের জন্য ফের উন্মুক্ত বান্দরবান

পর্যটকদের জন্য ফের উন্মুক্ত বান্দরবান

বান্দরবন: দীর্ঘ  মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য ভ্রমণের দুয়ার খুলেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবনে।

বৃহস্পতিবার ( নভেম্বর) থেকে সীমিত পরিসরে বান্দরবন সদর, আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি- ৪টি উপজেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার  ( নভেম্বর)সকালে বান্দরবন জেলা প্রশাসন কনফারেন্স রুমে প্রেসব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন এই ঘোষণা দেন। এই সময় অন্যদের মধ্যে বান্দরবনের পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হক, বান্দরবন হোটেল, রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পর্যটনশিল্প হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণ। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই সীমিত পরিসরে ৪টি উপজেলা ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি  উপজেলা-রুমা, থানচি রোয়াংছড়িতে ভ্রমণে সরকার নিরুৎসাহিত করেছে। কোনো পর্যটক ক্ষতির সম্মুখীন হোক এটি সরকার চায় না, নিরাপত্তা বিবেচনায় সরকারের এই নিরুৎসাহিত করার বিষয়টি পর্যটকদের মেনে চলতে হবে।

এই সময় তিনি ভ্রমণের স্থানগুলোতে নিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র বর্জ্য হিসেবে যেন পর্যটকরা ফেলে না আসেন, সে অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে পর্যটন স্পটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে ভ্রমণের জন্য বান্দরবন জেলার সব কটি পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পাহাড়ি-বাঙালির সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গত থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই বিধিনিষেধ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ ছিল।  মাসের বেশি সময়ের স্থবিরতা কাটিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে চারটি খুলে দেওয়া হলো।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন উল্লেখ করেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তা ৪টি উপজেলা থেকে তুলে নেওয়া হলো।

আরও পড়ুন