Tourism

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা, আরও ৩ লেবানিজ সৈন্য নিহত

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা, আরও ৩ লেবানিজ সৈন্য নিহত

ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের আরও ৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় তারা প্রাণ হারান। এতে করে দেশটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত সেনার সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়ে গেল। বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের সারাফান্দ শহরে একটি সেনা ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং ওই ঘাঁটির কাছাকাছি বসবাসকারী কমপক্ষে ১৭ জন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন বলে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। লেবাননের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ১টি পোস্টে বলেছে, “ইসরায়েলি শত্রু বাহিনী দক্ষিণে সারাফান্দ শহরে একটি সেনা কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করেছে, যার ফলে ৩ জন সেনা শহীদ হয়েছেন।” লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় দেশজুড়ে একদিনে আরও ২৮ জন নিহত এবং আরও ১০৭ জন আহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৫৪৪ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই দিকে সারাফান্দে হামলার আগে লেবাননের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফাদি ঈদ বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছিলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আর সর্বশেষ হামলায় আরও ৩ জনের প্রাণহানির ফলে লেবাননের সেনাবাহিনীতে মোট মৃতের সংখ্যা ৪১ জনে পৌঁছেছে বলে এপি জানিয়েছে। এর আগে গত রোববার ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব হাসবাইয়া প্রদেশের মারিতে লেবাননের একটি সামরিক পোস্টে বোমা হামলা চালায়। এতে দুইজন সেনা নিহত এবং আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবানন জুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে। হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। তবে লেবাননের সেনাবাহিনী এসব ক্ষেত্রে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। তারা যা করছে তা হলো সিভিল ডিফেন্স বা জরুরি পরিষেবাগুলোকে সহায়তা পরিষেবা প্রদান করা। মূলত লেবাননের সেনাবাহিনী বেসামরিক জনগণকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে এবং সেই কাজ করার ক্ষেত্রেও তাদের ওপর হামলা করছে ইসরায়েল। লেবাননের সেনাবাহিনীর জন্য এসব হামলা খুবই গুরুতর ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন