Tourism

ফেসবুককে পাঁচশো কোটি ডলার জরিমানা

ফেসবুককে পাঁচশো কোটি ডলার জরিমানা

ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরির অভিযোগে ফেসবুককে পাঁচশো কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন করার জন্য কোন কোম্পানিকে এর আগে কখনো এত বড় অংকের জরিমানা করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগের নিস্পত্তি করতে ফেসবুক পাঁচশো কোটি ডলার জরিমানা দেবে।

এছাড়া ফেসবুককে একটি স্বাধীন 'প্রাইভেসি কমিটি' গঠন করতে বলা হয়েছে। এই কমিটির ওপর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ কোন খবরদারি করতে পারবেন না।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান 'ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা' ফেসবুকের প্রায় আট কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করেছে বলে যে অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন সেটির তদন্ত করছিল।

এরপর অবশ্য এই তদন্তের পরিধি আরও বাড়ানো হয়।

ভোক্তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করার জন্য কোন কোম্পানিকে এর আগে কখনো এত বড় অংকের জরিমানা করার নজির আর নেই।

এফটিসি'র চেয়ারম্যান জো সিমন্স বলেছেন, কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে ফেসবুক বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে শেয়ার করা হবে সে বিষয়টা তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। কিন্তু তারা এই অঙ্গীকার রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার এই সংগ্রহ করা তথ্য ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে এবং ব্রিটেনের ব্রেক্সিট গণভোটে প্রভাব বিস্তারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে।

বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ফেসবুকের জন্য এই জরিমানা হয়তো বড় কোন অংক নয়, কারণ গত বছর তাদের আয় ছিল ৫৫০ কোটি ডলার। কিন্তু তারপরও এটি ফেসবুককে বিক্ষুব্ধ করছে।

তবে অনেকে মনে করছেন এফটিসি ফেসবুকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট নয়।

ফেসবুকের সাবেক প্রধান সিকিউরিটি অফিসার অ্যালেক্স স্টামোস বলেন, এই আপোসরফার ফলে ফেসবুকই আসলে লাভবান হলো।