Tourism

মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলা কতটা নিরাপদ!

মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলা কতটা নিরাপদ!

মোবাইল ফোন পৃথিবীকে হাতের মুঠায় নিয়ে এসেছে। নিত্য দিনের সব জরুরী পণ্যের মধ্যে এটি একটি। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় মোবাইল ছাড়া চলাই সম্ভব হয় না। এই অতীব জরুরি জিনিসটি ব্যবহারে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি কেঁড়ে নিচ্ছে চোখ, কান।

 

অনেকে আছেন যারা মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকলে চার্জে দিয়ে কথা বলেন বা গেম খেলেন, আবার কেউ আছেন যারা চার্জে দিয়েই ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন- চার্জ দেওয়ার সময় ফোন ব্যবহার করা কতটা নিরাপদ?

 

প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ভাল ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন আর ওই একই কোম্পানির চার্জার ব্যবহার করলে বিপদের সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

 

ইতিপূর্বে মোবাইল ফোন চার্জ অবস্থায় বিস্ফোরণে কারও মৃত্যু হয়েছে অথবা কারো শরীরের কোন অংশ ঝলসে গেছে এরকম খবরও রয়েছে।

 

গত সপ্তাহে এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরে। রিয়া ব্যানার্জী নামে ২২ বছরের এক তরুণী মোবাইল চার্জে রেখেই কথা বলছিলেন। হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

 

সন্দেহ করা হচ্ছে, চার্জ দেওয়ার সময়ে কোন ভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর যেহেতু মোবাইলে কথা বলছিলেন, তাই সেটটি ছিল কানের সঙ্গে লাগানো। তাতেই বিস্ফোরণের আঘাত অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ রকম অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। ইউএস কনজিউমার প্রোডাক্ট সেফটি কমিশন ২০১২ থেকে ২০১৭ সালে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি আর চার্জারের কারণে ২ হাজার দুর্ঘটনা তারা নথিবদ্ধ করেছে।

 

এর মধ্যে যেমন রয়েছে আগুন লেগে যাওয়া, অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া, গলে যাওয়ার ঘটনা, তেমনই আছে ফোন থেকে ধোঁয়া বের হওয়া আর বিস্ফোরণের ঘটনাও।

 

প্রযুক্তিবিদদের ব্যাখ্যা হচ্ছে মোবাইল ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু তাপমাত্রা খুব বেড়ে যাওয়ার আগেই মোবাইলে এমন কয়েকটি সুরক্ষা কবচ থাকে, যা চূড়ান্ত তাপমাত্রায় পৌঁছতেই দেয় না।

 

এক বিখ্যাত মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানির একজন সিনিয়র প্রযুক্তিবিদ, যিনি তার নাম প্রকাশ না করে বলছিলেন, যে সুরক্ষা কবচ আমাদের মতো কোম্পানির মোবাইলে থাকে, তাতে বিস্ফোরণ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে চার্জ হওয়ার সময়ে মোবাইল কিছুটা গরম হয়েই থাকে। তবে সেটা থেকে বিপদের সম্ভাবনা থাকে না বড় ব্র্যান্ডের ফোনে।

 

কিন্তু সস্তা ও অনামী যেসব ব্র্যান্ড আছে, তারা হয়তো এরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখে না। আবার যে কোম্পানির ফোন, তাদের সরবরাহ করা চার্জার ব্যবহার না করে সস্তার কোন চার্জার ব্যবহার করলেও এরকম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।