কামিন্স-হ্যাজেউডের ঝলকের পর ‘ওপেনিং অভিষেকে’ ব্যর্থ স্মিথ
শুরুতেই চাপে পড়া যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে ভরসার আভাস দিচ্ছিলেন ক্রিক ম্যাকেঞ্জি। তবে বাকি আর কেউ প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউডের জবাব দিতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইশোর ভেতরেই তাই আটকে ফেলে অজিরা। জবাব দিতে নেমে প্রথমবার ওপেন করতে নামা স্টিভেন স্মিথ হয়েছেন ব্যর্থ।
অ্যাডিলেডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস ১৮৮ রানে গুটিয়ে দিনশেষে ২ উইকেটে ৫৯ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবিয়ান ইনিংসে ধস নামিয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট নেন দুরন্ত ছন্দে থাকা অধিনায়ক কামিন্স। ৪৪ রানে ৪ উইকেট পান হ্যাজেলউডও। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক আর ন্যাথান লায়ন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কামিন্সের তোপে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও তেজনারাইন চন্দরপল বেশিক্ষণ টেকেননি। প্রথম ৯ ওভার পার করার পর চন্দরপলকে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যান বানান কামিন্স। খানিক পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট হয়ে যান বোল্ড।
শুরুর ধাক্কার পর আলিক আথনজেকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টায় ছিলেন ম্যাকেঞ্জি। জুটিতে ২৫ আনার পর আথানজে ফেরেন হ্যাজেলউডের বলে।
চোয়লবদ্ধ দৃঢ়তায় টিকে থাকলেও ম্যাকেঞ্জিকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন না কেউ। কেভাম হজ ৪৬ রানের জুটিতে সঙ্গে দেওয়ার পর থামেন ৩৬ বলে ১২ করে। দলের রান তিন অঙ্কের নেওয়ার পর নিজে ফিফটি স্পর্শ করে বিদায় নেন ম্যাকেঞ্জিও। এরপর নামে ধস।
১৩৩ রানে ৯ উইকেট পড়ার পরই এসেছে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। কেমার রোচ ও শেমার জোসেফ মিলে আনেন ৫৫ রান। তাতে দুইশোর কাছে যায় দলের পুঁজি। অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার শেমার জোসেফ দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে দলকে কিছুটা লড়াইয়ে রাখেন।
ডেভিড ওয়ার্নার অবসর নেওয়ার পর চমকপ্রদভাবে ওপেনিংয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন স্মিথ। দলও তাকে দিয়েছে সেই ভার। তবে রোমাঞ্চকর নতুন যাত্রায় প্রথমটা ভালো হলো না।
জীবনে প্রথমবার টেস্টে ওপেন করতে নেমে স্মিথ টিকেছেন ২৬ বল। দুই চারে ১২ রান করার পর শেমার জোসেফের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তিনে নেমে মারনাশ লাবুশানও বাঁহাতি পেসার জোসেফের শিকার। ২৬ বলে ১০ রান করেছেন তিনি। ৪৫ রানে দুই উইকেট হারানো স্বাগতিকরা বাকি দিন পার করেছেন উসমান খাওয়াজা আর ক্যামেরন গ্রিনের ব্যাটে। খাওয়াজা ৩০ ও গ্রিন ৬ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন।